গণহত্যার আসামি ও ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের মূলহোতা বর্তমানে কী অবস্থায় আছেন?


জুলাইতে কোটা বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখনই বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট। এই ইন্টারনেট বন্ধের মূলহোতা হিসেবে এরইমধ্যে উঠে এসেছে তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নাম। বর্তমানে তিনি জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণহত্যার একাধিক মামলায় আছেন কারাগারে।

এদিকে, কারাগার থেকে আদালতে আনলে প্রায়ই নানা কথা বলতে শোনা যায় পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে। আজই যেমন সুযোগ পেয়ে কোটি টাকা লুটপাট করা পলক জানালেন, অর্থাভাবে কারাগারে অন্য বন্দিদের সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খাওয়ার কথা।

আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পলককে হাজির করে পুলিশ।

বিচারক এজলাসে আসার আগে সাংবাদিকদের শুনিয়ে বেশ কিছু কথা বলেন পলক। এসময় তিনি বলেন, ‘চিড়া মুড়ি খাওয়ারও টাকা নাই। কারাগারে সুমনের (ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন) সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলখানার জীবন মারাত্মক শিক্ষার জীবন। সবার কম করে হলেও সাত দিন জেলে থাকা উচিত। যদি কখনো কারাগার থেকে বের হতে পারি তখনও এই কথা বলব।’

উল্লেখ্য, শুনানি শেষে পলককে ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম। পরে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post